শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ , ৯ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

দুই শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা

কুবি প্রতিনিধি ২ মে , ২০২৪, ১৭:০৭:৫৪

134
  • দুই শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা

কুবি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মো: মোর্শেদ রায়হান হিমুর উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে দুই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বুধবার(২ মে) দুপুর সাড়ে ১১ টায় ও দুপুর দুইটায় কলা অনুষদের সামনে এই মানববন্ধনগুলো করা হয়।

মানববন্ধনে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী হিজবুল্লাহ আরেফিন তাজবী বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় কীভাবে একজন শিক্ষক আরেক শিক্ষকের উপর হামলা চালায়! এই রকম অমানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।’

মানববন্ধনে উপস্থিত প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন রেজওয়ানা বলেন, ‘একজন মানুষের ভিতর রাগ বিদ্বেষ থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে একজন শিক্ষক আরেক শিক্ষকের উপর হামলা করতে পারে! এই অবস্থায় কিভাবে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি করবেন। তার পাশাপাশি আপনি হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলো বন্ধ করে দিলেন। এইভাবে শিক্ষার্থীদের কোণঠাসা করার দরকার কী!’

লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের আয়োজিত মানববন্ধনে ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সোহানুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করে ভিসি স্যার নিজেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেন এমনকি আবাসিক হলগুলোও বন্ধ করে দেন। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে টিউশনের জন্য, বিভিন্ন কাজে ক্যাম্পাসে থাকতে হয়। তাই আপনার এমন সিদ্ধান্ত অনুচিত। তাছাড়া ওই দিনে (২৮ তারিখ) শিক্ষকদের উপর যে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা হয়েছে  সেটার নিন্দা ও বিচার দাবি করছি।’

লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাহিদ বলেন, ‘আমরা এখানে আমাদের অধিকারের কথা বলতে এসেছি, নিপীড়নের কথা বলতে এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয় কেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে? তিনি (ভিসি) চিন্তা করেছেন এই সময়টাতে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলে তার জন্য উপকার হবে। একজন ভাইস চ্যান্সেলর কীভাবে একজনের গায়ে হাত তুলতে পারে? এমন কোনো নজির পৃথিবীর ইতিহাসে আছে? উনি আমাদের প্রিয় সহকর্মী লতা ম্যামকে অপমান করেছেন। উনি এখানে থাকার সমস্ত যোগ্যতা হারিয়েছেন। আমরা আপনাকে আর চাই না। আপনি এখানে আর আসবেন না।’

উল্লেখ্য, ২৮ এপ্রিল  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজ কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে শিক্ষক সমিতি বাঁধা প্রদান করে। তখন ছাত্রলীগ, শিক্ষক, উপাচার্যের ত্রিমুখী ধাক্কাধাক্কি ও দস্তাদস্তি হয়। সে সময় ধাক্কাধাক্কিতে আঘাতপ্রাপ্ত হন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোর্শেদ রায়হান হিমু, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস লতাসহ আরও অনেকে।

নিউজজি/নাসি

 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন